যেকোনো সন্তানের ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলার শরিক হয়ে দাঁড়ায় তার মা-বাবা। মা-বাবার কঠোর পরিশ্রম এবং জীবনভর আত্মত্যাগের ছত্রছায়ায় থেকে যেকোনো সন্তানই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারে। ক্যারিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করা থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজ করতে গিয়ে নিজেদের সামর্থে কুলিয়ে না উঠলেও তার কোনো প্রভাব পড়তে দেন না সন্তানের ওপরে। অনেক কৃতজ্ঞতা শিক্ষিত না হলেও নিজেদের প্রভাব কখনোই সন্তানের ওপর পড়তে দেননা। যাই হয়ে যাক না কেন, সন্তানকে শিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে প্রতিটি বাবা মা তাঁদের দায়িত্ব অতি যত্ন সহকারে নিখুঁত ভাবে পালন করে থাকেন।
ঘটনাটি প্রকাশ যাদব নামে এক ব্যক্তির। ছবিটা দেখলে দেখা যাবে তার গায়ের রয়েছে একটি গ্রাজুয়েশন গাউন। তার পাশে এক মহিলা রয়েছেন, যিনি তার মা। তার পরনের রয়েছে এক অতি সামান্য গোলাপী রঙের শাড়ি। এটি প্রকাশের গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভের পর এর ছবি। জানা গিয়েছে যে প্রকাশ যাদব সবে মাত্র গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেছে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার সুফল মেলায় মহানন্দে আনন্দিত সে। একইসঙ্গে ছেলের এত বড় সাফল্য পেয়েছে দেখে তার মায়ের খুশি তার চেয়েও দশগুণ বেশি।
গ্রাজুয়েশনের ডিগ্রি লাভের পর মায়ের সঙ্গে এই ফটো ফেসবুকে শেয়ার করেছেন প্রকাশ যাদব। ক্যাপশনে লিখেছেন,”আমার জীবনের অন্যতম মূল্যবান দিন”। তিনি আরও আব্রাহাম লিংকনের উদ্ধৃতি দিয়ে লেখেন,”আমি সব সময় আমার মায়ের প্রার্থনার কথা মনে করি এবং তারা আমাকে সব সময় অনুসরণ করে। তারাই আমাকে আমার জীবনে ধরে রেখেছে।”
তাঁর মা তাকে জীবনের এই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তা ভুলে যাওয়ার নয়। সারা দেশ তথা সারা বিশ্বের মানুষ প্রকাশের এই ডিগ্রি লাভের পেছনে তার মায়ের অবদান কে সম্মান জানিয়েছেন। তাদের এই ছবিটি ২০১৯ সালের। পুনের ফার্গুসন কলেজ থেকে
বিএসসি-তে, জিওলজি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে সারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থান অধিকার করে ছিলেন প্রকাশ। বর্তমানে তিনি ধানবাদ আইআইটি ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মাইনস এ ভূতত্ত্ব ও বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন। তাদের জীবনের এই কাহিনী বুঝিয়ে দেয় যে, জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করেও কিভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়।