ভারত পাকিস্তানের প্রবেশ করে হামলা চালাতে পারে এই ভয়ে এই অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়েছিল।পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার ঘটনাটি কারোর কাছে অজানা নয়। পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে তুমুলভাবে প্রতিশোধ নিয়েছিল ভারতীয় যুদ্ধবিমান। প্রতিশোধের আগুনে পাকিস্তানের বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে ধ্বংস করে দিয়েছিল। ভারতীয় বায়ুসেনা একদিকে যেমন জঙ্গিদের ঘাঁটিগুলোকে মাটির ঢেলার মত গুঁড়িয়ে দিয়েছিল তেমনি এই আক্রমণে নিহত হয়েছিল অনেক জঙ্গি।
ইটের জবাব পাথরে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। বালাকোটে ভারতের এয়ার স্ট্রাইক এর পরেরদিন ভারতকে হামলার চেষ্টা করে আকাশপথে পাকিস্তান। এই হামলা করার চেষ্টার জবাব দিলো ভারত।পাকিস্তানের এফ-১৬ বিমান গুলি করে নামায় ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। কিন্তু হঠাৎই এই বিমানগুলোকে অনুসরণ করতে গিয়ে অভিনন্দন পৌঁছে যায় পাকিস্তানের সীমান্তে, ফলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অভিনন্দনকে আটক করা হলে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি আরো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
অভিনন্দন কে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভারত কূটনৈতিক রাস্তায় পাকিস্তানকে বিপুলভাবে চাপ দিতে থাকে।অবশেষে ভারতের চাপে অভিনন্দন কে ছাড়তে একপ্রকার বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা সরদার আওয়াজ সাদিক জানান যে, অভিনন্দন কে আটক করার পর ভারতের পক্ষ থেকে যেরকম চাপ আসতে থাকে তার ফলে পাকিস্তানের অবস্থা হয়ে গেছিল দিশেহারা।
পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। এরপর অভিনন্দন কে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে ইমরান খানের সরকার। সেই বৈঠকে পাক সেনা প্রধান ছাড়াও বিরোধীদের পক্ষ থেকে অনেকেই ছিলেন, ছিলেন না সেই বৈঠকে ইমরান খান।সেই বৈঠকেই বিদেশমন্ত্রীর শাহ মোহাম্মদ কুরেশি মন্তব্য করেছিলেন, “অভিনন্দনকে যদি ছাড়া না হয় তাহলে রাত ন’টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানে হামলা করতে পিছপা হবে না,তাই অভিনন্দন কে অবশ্যই ছাড়তে হবে”।