তুলসী গাছ টিকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যারা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী তারা তুলসী গাছের উপাসনা করে। তুলসী উদ্ভিদ কেবল আধ্যাত্মিক কারণে নয় আয়ুর্বেদের দৃষ্টিকোণ থেকেও খুব উপকারী বলে মনে হয়। আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই জানেন তুলসী গাছটি ওষুধ হিসেবে অমৃত।
তুলসী প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক সময় পর্যন্ত চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তুলসী পাতা খেলে সর্দি কাশি ত্বক সম্পর্কিত রোগ বা মাথা ব্যথার সমস্যা দূর হয়। সন্তানের কাশি সর্দি লাগলে মা তুলসী গাছের পাতা গুলিকে কাঁচা চিবোতে দেন। তুলসী গাছ গুলিকে আয়ুর্বেদে পুণ্যের ধন হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
তুলসী পাতায় কিছু উপাদানের পরিমাণ এত বেশি যে এটি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় তবে এটি লাভের পরিবর্তে আমাদের দেহের ক্ষতি করে। আয়ুর্বেদে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তবে আপনি যদি নির্দিষ্ট পরিমাণে ঔষধ গ্রহন করেন তবে এটি উপকার দেয় তবে অতিরিক্ত খেলে শরীরের ক্ষতি করে।
আজ আমরা কোন লোকের তুলসী পাতা খাওয়া উচিত নয় এবং এর অসুবিধা গুলি কি কি? এটি সম্পর্কে তথ্য দিতে যাচ্ছি…
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তুলসী পাতা ক্ষতিকারক প্রমাণিত হয়েছে। আপনি যদি ডায়াবেটিস এর রোগী হন এবং ওষুধ সেবন করেন তবে তার সাথে তুলসী পাতা নেবেন না, এটির কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদি কোন মহিলা গর্ভবতী হন তবে খেয়াল রাখতে হবে যে সে যেন একেবারে তুলসীপাতা না খায়। কারণ তুলসী পাতা গুলিতে ইউজেনল উপাদান রয়েছে, যার কারণে যদিগর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা খাওয়া হয় তবে এটি জরায়ুর সংকোচনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এটি কেবল সংকোচন এবং ঋতুস্রাব এর কারনই হয়ে ওঠে না এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। আপনি যদি হাইপোথাইরয়েডিজম এর রোগী হন তবে তুলসী পাতা খাওয়ার মতন ভুল জীবনেও করবেন না, কারণ এটি থাইরক্সিন এর মাত্রা হ্রাস করে।
যারা ব্লাড থিনার বা রক্ত পাতলা হওয়ার ওষুধ খাচ্ছেন তাদের তুলসী সেবন করা উচিত, কারণ ওষুধের সাথে তুলসির পাতা সেবন করলে রক্ত পাতলা হওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। যাদের অপারেশন হয়েছে তাদের তুলসীপাতা একেবারে খাওয়া উচিত নয়, কারণ তুলসী পাতা খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যায় তাই রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি করে যার ফলে সার্জারির পরে রক্তক্ষরণ হয় তাই এই সময় তুলসী পাতা খাওয়া একদমই উচিত নয়।।