খেলনার দোকানে যে রাবারের পুতুল গুলি পাই তা আমরা সকলেই দেখেছি। আমরা এই রাবারের পুতুল কে যেভাবে খুশি ঘোড়াই না কেন এর কিছুই হয় না এটি আগের মত স্বাভাবিক হয়ে যায়। একবার ভেবে দেখুন তো এমন পুতুল কি বাস্তব জীবনে পাওয়া সম্ভব?
একবার ভাবুনতো একটি মেয়ে যে যেমন খুশি তার শরীরটিকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে রাখতে পারে। আপনাদের কারো কাছে এটি অসম্ভব মনে হলেও এটা বাস্তবে সম্ভব। পশ্চিম লন্ডনের রক্সিকবিলিউখ নামের 13 বছরের এই মেয়েটি তার শরীরকে রাবারের মতো বেকায়।
মেয়েটির শরীরে এতটাই নমনীয়তা রয়েছে যা দেখে দর্শকরা অবাক হয়ে যায়। রক্সি নিজের শরীরকে নমনীয় রাখতে সপ্তাহে প্রায় 15 ঘন্টা প্রশিক্ষণ নেয়। তারা নিখরচায় বসে থাকতে পছন্দ করে না এমনকি খালি থাকলেও তারা তাদের দেহ ঘুরিয়েও অনুশীলন চালিয়ে যায়।
শুধু এটাই নয় তিনি পায়ের সাহায্যে ল্যাপটপ চালাতে পারেন হোমওয়ার্ক করেন এবং অন্যান্য কাজ খুব সহজেই করতে পারেন। রক্সি তার অতি নমনীয় শরীর এর কারনে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে তার সহস্রাধিক অনুসরনকারী।
রক্সি যখন তার ডান পা দিয়ে লেখে তখন তার লেখা ও খারাপ হয় না। যখন তিনি ল্যাপটপ চালান তখন তিনি ডান পায়ের ব্যবহার করেন। একটি উপায় তিনি পায় সাহায্য নিয়ে তার প্রতিদিনের সমস্ত কাজ করতে পারে। রক্সি একসাথে স্ট্রেচিং এবং অধ্যায়ন করতে পছন্দ করেন।
রক্সি বিশ্বের সবচেয়ে নমনীয় মেয়ে হওয়ার স্বপ্ন দেখে তাই সে প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছে। রক্সি প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার প্রতিভা দেখিয়ে মানুষকে অবাক করে দেয়। এই নমনীয় মেয়েটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর আলোচিত হচ্ছে।
লোকেরা ভিডিও দেখার পরে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছে। কেউ কেউ তো সন্দেহ প্রকাশ করেছে মেয়েটির শরীরে হাড় আছে কিনা। যাইহোক আপনি 13 বছরের এই কিশোরীর নমনীয়তা টি কিভাবে অনুভব করছেন? এইরকম ছোট মেয়েকে আগে কি কখনো এমন কিছু করতে দেখেছেন? আমাদের কমেন্ট বক্সে আপনাদের মন্তব্য জানান।।